• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২০ সেকেন্ড পূর্বে
জহুরুল ইসলাম
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:৪৫ দুপুর

শাহজাদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ, মামলা দায়ের

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জুগ্নীদহ তাহফিজুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রদের ধারাবাহিক বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মুন্নাফের বিরুদ্ধে। বলাৎকারের পর শিক্ষক ভুক্তভোগীদের গলায় দা ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন, যেন ঘটনা প্রকাশ না পায়। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে ঘটনা প্রকাশের পরই মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ, ছাত্ররা নিজেদের ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছে মাদ্রাসা ছেড়ে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ আমিরুল ইসলাম, উপদেষ্টা সদস্য মোঃ আজাদ, অভিভাবক মান্নানসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুগ্নীদহ তাহফিজুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মুন্নাফ দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক ছাত্রদের বলাৎকার করে আসছেন। বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের ঘটনা প্রকাশ করতে নিষেধ করেন। সম্প্রতি ঐ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় না যেতে চাইলে অভিভাবকরা কারণ জানতে পারেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক তাদের গভীর রাতে রুমে টেনে নিয়ে মুখ চেপে ধরে খারাপ কাজ করে। এ ঘটনা কাউকে বলে দিলে দা দিয়ে গলা কেটে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। বিষয়টি জানার পর রবিবার রাত ১০টার দিকে অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হেলাল এবং সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুক্তভোগী অভিভাবকদের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং তাদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন। এসময় ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে মাদ্রাসায় রাতে কয়েক শত লোক জুটে গিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসার দুজন শিক্ষককে মারধরও করে। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ উপস্থিত হলে মাদ্রাসা সুপারসহ কমিটির লোকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই একে একে সব শিক্ষার্থী তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, তাদের শিক্ষক মুন্নাফ গভীর রাতে একেকদিন একেকজন শিক্ষার্থীকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করে এবং এ ঘটনা কেউ যেন প্রকাশ না করে তার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কথা হলে প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহ এবং সামিউল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে রাতে তাদের মধ্যে থেকে সবচেয়ে ছোট শিক্ষার্থীকে হুজুর তার রুমে নিয়ে যায়। পরে তারা টিনের বেড়ার ফুটো দিয়ে উঁকি মেরে দেখে হুজুর জোর করে ঐ শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ কাজ করছে। এসময় একজন টিনে শব্দ করলে হুজুর বাইরে এসে তাদের গলায় মাছ কাটা দা ঠেকিয়ে হুমকি দেয় যে, কেউ ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলা হবে।

এদিকে ঘটনা প্রকাশের পর থেকেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দেওয়ায় মাদ্রাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চেয়ে মাদ্রাসার সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই কথা বলতে পারবেন না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অপরদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে (০১৭২৪ ৩৬৫৮৫০) একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ আছলাম আলী জানান, বলাৎকারের অভিযোগে জুগ্নীদহ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]