
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, প্রবাসীরা এবার বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভোট দিবেন। আমাদের সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীরা এবার বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভোট দিবেন; এইটুকু আমরা বলতে পারি ইনশাআল্লাহ। আমাদের সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে। তবে কতদিন আগে তারা রেজিস্ট্রেশন করবেন, কতদিন পর্যন্ত তারা ভোটিং এর ব্যবস্থাটা করবেন এটার যে টেকনিক্যালিটিজ আছে ট্রল এর মাধ্যমে এটা আমরা যথাসময় আপনাদেরকে আপডেট করে দিব, যাতে আপনাদের মাধ্যমে প্রবাসীরাও জানতে পারেন।
তিনি বলেন, আউট অফ কান্ট্রি ভোটিংয়ের ব্যাপারে আপনারা জানেন যে আমরা দুটা প্লাটফর্ম করছি একটা হচ্ছে যে প্রবাসে বাংলাদেশী যারা আছেন এনআইডি ধারী তারা নিবন্ধন করবেন। আরেকটা হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে যারা আছেন যারা নির্বাচন কাজের সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত বা আইনি হেফাজাতে আছেন এই ক্যাটাগরির জন্য। ইনকান্ট্রি পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করব। এর অ্যাপটা তৈরি করা হচ্ছে বা এর প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করা হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করার সাথে সাথে এটা আমরা আবারো আপনাদেরকে নিয়মিতভাবে এটা ব্রিফিং করব।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র এই সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলের যে নিবন্ধন... যে ২২টা রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য আমরা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে এসেছে। আমরা এখানে একটা ব্রডশিটে বিষয়টাকে সন্নিবেশ করে আগামীকালকের ভিতরে কমপ্লিট করে আমরা কমিশনে দিব এবং তারপরে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবেন।
দলীয় প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতীক সংক্রান্ত একটা বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ উইং এ অপেক্ষমান আছে। এবং আমরা আশা করছি যে এটা তাড়াতাড়ি আসবে। কারণ আমাদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সাথে প্রতীকের একটা সম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, যার বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবে তিনিই আবেদন করতে পারবেন এখানে ওই পহেলা জানুয়ারি পহেলা মার্চ বা এরকম কোন কিছু নাই। তবে ভোটের নিয়ম সাংবিধানিকভাবে ১৮ বছর। সেক্ষেত্রর তারা ভোট দিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, যে এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করার একটা প্রভিশন ছিল ওটাকে আমরা বলেছি এটা লাগবে না। মানুষের অসুবিধার হয়, সময়ের স্বল্পতা আছে সুযোগের স্বল্পতা আছে। তার থেকে বরং জিডি ছাড়াই দ্বিতীয়টা কার্ড পাওয়ার সুবিধা আছে।
সকালে ইসির সামনে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে, এক্ষেত্রে সীমানা পুণঃনির্ধারণের সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয় যেটা হচ্ছে.. আপনারা যদি সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনটা দেখেন ওটাতে বলা আছে সাত ধারার ছয় এবং সাতে যে আমাদেরকে চূড়ান্ত যে করা হবে এবং সাত ধারায় বলা আছে এটার পরে এ ব্যাপারে সংশোধন করতে গেলে আইনগতভাবে আদালতেও যাওয়ার সুবিধা সীমিত।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর