ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবারও মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করেছে স্থানীয় জনতা। সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এই রুটে চলাচলকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভাঙ্গার পুকুরিয়া ও সুয়াদিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের ওপর গাছ, বাস, ইট ফেলে কয়েক হাজার স্থানীয় জনতা অবরোধ শুরু করে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়কের দু'পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

বিক্ষোভকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে পুকুরিয়া, সোয়াদি ও মনসুরাবাদে মহাসড়কের ওপর গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। তারা ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার পরিবর্তে ভাঙ্গা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৫ আসন পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছে, তাদের এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধ চলবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান জানান, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ পর্যন্ত পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করছেন। এছাড়াও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ থেকে গোপালগঞ্জ মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এতে সবকটি মহাসড়কের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তালিকা প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে অবরোধ শুরু করে এবং এরপর থেকে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে।