
চুয়াডাঙ্গায় দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরের দ্বীননাথপুর জামেয়াতুল উলুমিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় ওই দুই ছাত্রকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছাত্ররা হলেন, কুঁকিয়াচাঁদপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে রাব্বি হাসান (১৩) ও একই গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মিরাজ (১৩)। তারা দুজনই ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল বাংলা ও ইতিহাস বিষয়ে ক্লাস নেন।
ওই দুই ছাত্রের স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবারের পর মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল ছাত্ররা। এসময় ওই শিক্ষকের ভাগ্নে, প্রথম শ্রেণির ছাত্র হুজাইফার শরীরে পা তুলে দেয় রাব্বি। সেটি দেখতে পেয়ে রাব্বি ও মিরাজকে কাঠের চলা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল। বেধড়ক মারপিটের পর তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ওই কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টি জানার পর পরিবারের স্বজনরা আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসকরা জানান, ওই দুই ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর