
বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা একটি শিক্ষা, গবেষণা, সামাজিক ব্যবসা ও কল্যাণমূলক সংগঠন। দেশের সাংবাদিক সমাজের বহুমুখী কল্যাণ সাধন সংস্থার লক্ষ্য। দেশের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের একক সংগঠন হিসেবে ২০২৫ সালের ৩ আগস্ট বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় তলার মানিক মিয়া হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সংস্থাটি ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মোঃ মমিনুর রশিদ শাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। সভায় সকল নেতৃবৃন্দ সারা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান। এ সময় প্রথম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা: মওদুদ হোসেন আলমগীর। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আসুন, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করি।"
বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার ১৭ দফা দাবিগুলো হলো:
১। প্রেস ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে দেশে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সকল বিভাগীয় সদরে পিআইবির শাখা খুলতে হবে।
২। দেশে ও বিদেশে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৩। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সারা দেশে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে একটি জাতীয় সাংবাদিক অধিকার সনদ প্রণয়ন করতে হবে।
৫। জাতীয় সংসদের মাধ্যমে জাতীয় সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৬। প্রেস কমিশন গঠন করে তার রিপোর্টের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের জন্য শিল্পনীতি প্রণয়ন করতে হবে।
৭। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রেস কাউন্সিলে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৮। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধি প্রয়োগ ও গ্রেফতার পরিহার করতে হবে।
৯। গ্রামীণ সাংবাদিকসহ সকল সাংবাদিককে নিয়োগপত্র প্রদান ও বেতন বোর্ড বোয়েদাদ অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
১০। গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের দমনের হাতিয়ার সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
১১। বিজ্ঞাপন যেন সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার না হয়, তা লক্ষ্য রাখতে হবে। সকল সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টনে সুষম নীতি অনুসরণ করতে হবে।
১২। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক ও তার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
১৩। গণমাধ্যমে ফ্রিল্যান্স বা খণ্ডকালীন সাংবাদিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
১৪। সরকারি তরফ থেকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সকল পদক্ষেপ পরিহার করতে হবে।
১৫। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত রাখতে হবে।
১৬। প্রথিতযশা সাংবাদিকদের দেশ ও জাতি গঠনমূলক রচনা বাংলা একাডেমি বা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে।
১৭। অনলাইন নিউজপেপার ও নিউজ পোর্টালের জন্য সহজ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
সর্বশেষ খবর