
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কের পাশে এশিয়ান হাইওয়ে সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুটি পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত না করায় সেগুলো প্রায় পরিত্যক্তের পথে। অভিযোগ উঠেছে, পাবলিক টয়লেটগুলোতে সাবমার্সিবল পাম্প ও পানির ট্যাংক স্থাপনের কয়েক ঘণ্টা পরই ঠিকাদারের লোকজন সেগুলো পুনরায় স্থাপনের কথা বলে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কী ও গোড়াই বাসস্ট্যান্ডের পাশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন দুটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে পাবলিক টয়লেটগুলো এখন ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। এরই মধ্যে কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। গভীর নলকূপের সাবমার্সিবল পাম্প ও পানির ট্যাংকও গায়েব হয়ে গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মির্জাপুর উপ-বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাসেক প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জুন মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে মহাসড়ক বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পাবলিক টয়লেটগুলো ওই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছিল। মহাসড়কের জামুর্কী অংশের পাবলিক টয়লেটটি মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড এবং গোড়াই অংশের পাবলিক টয়লেট আব্দুল মোনেম লিমিটেড নির্মাণ করে। তবে পাবলিক টয়লেটগুলোর নির্মাণ ব্যয় বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি দপ্তরটি।
জামুর্কী বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বলেন, এটি একটি জনবহুল বাসস্ট্যান্ড। পাবলিক টয়লেট উন্মুক্ত না করায় সাধারণ মানুষ আমার বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে প্রস্রাব করে। এখানে বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।
একই এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজী জাকির হোসেন বলেন, একদিন সকালে কিছু লোক পাবলিক টয়লেটে সাবমার্সিবল পাম্প ও পানির ট্যাংক স্থাপন করে। দুপুরে কাজ শেষ হওয়ার পর বিকেল বেলা তারাই আবার সেগুলো খুলে নিয়ে যায়।
গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা দোকানি নজরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের পর এটি চালু করা হয়নি। শিল্প এলাকা হওয়ায় এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। পাবলিক টয়লেটটা চালু হওয়া খুবই দরকার।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মির্জাপুর উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পাবলিক টয়লেটগুলোর বিষয়ে কোনো লোকবল নিয়োগ বা নির্দেশনা প্রদান না করায় সেগুলো উন্মুক্ত করা যায়নি। সাবমার্সিবল পাম্প ও পানির ট্যাংক স্থাপন না করে যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল উত্তোলন করে থাকে, তবে সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমেরী খান বলেন, পাবলিক টয়লেটগুলো জেলা পরিষদ ও পৌরসভার সাথে আলোচনা করে ইজারা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর