
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আরও জোরদার হলো। এখন থেকে সরকার ও কমিশনের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষমতা থাকবে কমিশনের হাতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন- ১৯৯১ সংশোধনে ইসির দেওয়া এমন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হবে।
এ সংশোধনে নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে রিটার্নিং অফিসার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরাও।
নতুন এ আইনের ফলে যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে ইসি
অসদাচরণ করলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, বাধ্যতামূলক অবসর বা পদোন্নতি–বেতন স্থগিত করতে পারবে। অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তেরও আদেশ দিতে পারবে কমিশন। প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা ইসিকে জানাতে হবে। এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই ও বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে অন্তর্ভুক্ত হবে। সরকার–ইসি দ্বন্দ্বে কার সিদ্ধান্ত কার্যকর?
এ আইনের ফলে এখন থেকে কোনে বিষয়ে সরকার ও ইসির মধ্যে সিদ্ধান্তের ভিন্নমত হলে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে।
সংশোধিত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে-সরকার ও কমিশনের মধ্যে কোনো বিষয়ে ভিন্নমত হলে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে।
নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, “নির্বাচন কর্মকর্তদা বিশেষ বিধান সংশোধনের মাধ্যমে ইসির কর্তৃত্ব বাড়ল। এর মাধ্যমে কেউ কোনো অনিয়ম করলে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব সংস্কার কমিশন থেকে দিয়েছিলাম আমরা। এটা খুব ইতিবাচক পদক্ষেপ সরকারের।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর