ফরিদপুর জেলা শহরের আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লামিয়া আক্তার(২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার(২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নববধূ। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বজনদের দাবি, রোগীর যে চিকিৎসকের অপারেশন করার কথা ছিল তিনি অপারেশন না করে অন্য চিকিৎসককে দিয়ে অপারেশন করা হয়েছে। যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

জানাগেছে, মাত্র ৬ মাস আগে জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের লামিয়া আক্তারের (২১) সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই এলাকার হিমেল খানের (২৫)। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে লামিয়া পেটে ব্যাথা অনুভব করে। পরে ফরিদপুর শহরের আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালে এনে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। রোগী দেখার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে, দ্রুত অপারেশন করতে হবে।

এরপর শুক্রবার দুপুরে অপারেশনের জন্য শহরের আরোগ্য সদন হাসপাতালে লামিয়া আক্তারকে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার বিকালে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন করেন সার্জন ডা. রতন সাহা। ডা. জানান, অপারেশ ভালো হয়েছে, রোগীও সুস্থ আছেন। পরে রাত ৯টার দিকে জানানো হয় লামিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হলে রোববার ভোররাতে লামিয়ার মৃত্যু হয়।

রোগীর স্বামী হিমেল খানের দাবি, ডা. রতন অপারেশন না করে অন্য কাউকে দিয়ে অপারেশন করিয়েছেন, এ কারণেই লামিয়ার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই মুলত লামিয়া মারা গেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আ. স. ম. জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বলেন, ডা. রতন সাহাই অপারেশন করেছেন। অপারেশন সঠিকভাবেই করা হয়েছে। কোনো ভুল হয়নি। চিকিৎসকের অবহেলাও ছিল না।

তিনি আরও বলেন, অ্যানেসথেশিয়া করার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লামিয়া মারা গেছেন। রোগীকে অপারেশন করতে হলে অজ্ঞান করতে হবেই, সকলের শারীরিক অবস্থা এক হয় না।

এ বিষয়ে ফরিদপুরে সিভিল সার্জন ডা. মাহ্‌মুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।