
স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বিধবা ফরিদা বেগম মাত্র ২০টি হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি সেই হাঁসগুলোও বিল থেকে ধরে নিয়ে রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দিয়েছে প্রতিবেশী আব্দুল আলীম। জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশাহারা ফরিদা বেগম প্রধানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানেও নির্ধারিত তারিখে অভিযুক্ত আব্দুল আলীম উপস্থিত না হওয়ায় ন্যায়বিচার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
একইভাবে, দরিদ্র করিম শেখের স্ত্রী রোকেয়ার ৩৫টি এবং হাফিজুলের স্ত্রী খোদেজার ২৫টি হাঁসও আব্দুল আলীম একই কায়দায় চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নাববীলা গ্রামের বিধবা ফরিদা বেগম, অসহায় খোদেজা খাতুন এবং রোকেয়া খাতুন ক্ষুদ্র পরিসরে হাঁস পালন করে দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পথ খুঁজছিলেন। বাড়ির পাশেই বর্ষায় তলিয়ে যাওয়া জমিতে তাঁরা হাঁস চড়াতেন। কিন্তু গত এক মাস আগে আব্দুল আলীম সকলের হাঁস পানি থেকে তুলে এনে এক রাতের মধ্যে বিক্রি করে দেয়।
এরপর আলীমের আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি অবগত করে বিচার প্রার্থনা করা হলেও তাঁরা বিচার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে বিচারের আবেদন করা হলে নির্ধারিত তারিখে আলীম উপস্থিত না হওয়ায় বিচার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি, আব্দুল আলীম নিজের হাঁস চুরি গেছে দাবি করে কয়েকজন গ্রামবাসীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করায় ক্ষতিগ্রস্তরা আরও দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আলীম জানান, তাঁর নিজের সাড়ে পাঁচশো হাঁস ছিল। বিলের পানিতে চড়াতে নিয়ে গেলে গ্রামের কিছু লোক সেগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। তাই তিনি এক রাতে সব হাঁস বিক্রি করে দিয়েছেন। ভুলবশত একজনের হাঁস বিক্রি করে দেওয়ায় তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর