
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীকে বড় জোট গঠন করবেন এমন আভাস দিলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন আভাস দেন তিনি।
তিনি বলেন,“এনসিপির আলাদা নাম থাকবে, এনসিপির প্রতীকেই থাকবে। অন্য দলের নাম বা মার্কা ডিজলভ হয়ে যাবে। এনসিপির ব্যানারে অনেকগুলো দল আসছে। ইনশাল্লাহ বিগ টাইম একটা দল হতে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন,“আপনারা জনগণের দিকে তাকিয়ে হলেও এইসব ভণ্ডামি বাদ দেন।” তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অযথা বিলম্ব করা হচ্ছে, এর মূল দায় বিএনপি ও জামায়াতের।
তিনি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত এখনো জুলাই সনদের আইনি প্রক্রিয়ায় আসছে না, এটাই নির্বাচন বিলম্বের মূল কারণ। আমি বলব, জনগণের কাছে মাফ চেয়ে হলেও আপনারা এইসব ভণ্ডামি বাদ দেন। জনগণের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রুত নির্বাচনে অংশ নিন, আইনি প্রক্রিয়ায় আসুন। দ্রব্যমূল্য, জনজীবনের দুর্ভোগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান — সবকিছু এখন সংকটপূর্ণ।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকারে অগ্রগতি নিয়ে পাটওয়ারী বলনে, আমাদের প্রবাসী ভাইবোনদের সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাইলটের মাধ্যমে কেউ ভোট দিতে পারবে, কেউ পারবে না — এটা কোনোভাবেই হবে না।
তিনি জানান, একটি ইতিবাচক দিক হলো, ইসি ইতোমধ্যে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে, যেসব প্রবাসীর এনআইডি কার্ড আছে, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
পাসপোর্টধারীদের এনআইডি সেবা সহজ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেক প্রবাসী ভাইবোন আছেন যাদের পাসপোর্ট আছে, কিন্তু এনআইডি নেই। তাদের বায়োমেট্রিক দিতে হয় অনেক দূরে গিয়ে, অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়, ভোগান্তি হয়। নির্বাচন কমিশনেরও খরচ হয়। আমরা বলেছি, যাদের পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, সেই ডেটা পুল করে যেন এনআইডি তৈরি করা যায়,”।
তিনি আরও বলেন, “যাদের পুরোনো এনআইডি আছে বা নতুন স্মার্ট এনআইডি আছে — দুই পক্ষকেই যেন ভোট দিতে দেওয়া হয়। পুরোনো এনআইডি থাকলেই যেন কেউ বঞ্চিত না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে আছেন যাদের ২০০–৩০০ মাইল দূরে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিতে হয়। এটা সমীচীন না। যেহেতু পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা হচ্ছে, তাই যাদের পাসপোর্ট আছে, তাদের আওতায় আনা হোক,”
৩০০ আসনে প্রার্থী, ১৫০ আসনে জয় প্রত্যাশা
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এবং সব আসনে জয়লাভের জন্য কাজ করবে।
“আমরা বলেছিলাম ৩০০ আসনের জন্যই লড়বো। তবে বাস্তবতা অনুযায়ী ১৫০ আসন আমরা জয়ের মত পরিস্থিতিতে আছি — কনফার্ম অবস্থায়,” বলেন তিনি।
তবে বিএনপি বা জামায়াত কতটি আসন পাবে, তা নির্ধারণ করবেন জনগণ, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা একবার বলেছিলাম বিএনপির ৫০–১০০ এর বেশি যাবে না। এখন তো বাস্তবতা আরও খারাপ।”
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও আশাবাদ
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যদি ১৫০ আসন নিশ্চিত করতে পারি, আর বাকিদের সাথে যদি সমন্বয় হয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারি। নারীদের সংরক্ষিত আসন ও উচ্চকক্ষের হিসাবও এ ক্ষেত্রে যুক্ত করতে হবে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর