
অবরোধকারীরা খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ছাড়াও পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়িসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করেছে। কিছু জায়গায় গাছ কেটে সরাসরি সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
নোয়াখালী থেকে আসা পর্যটক মো. ফারুক বলেন, বন্ধুদের নিয়ে সাজেক যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি এসেছি। এখানে এসে অবরোধের খবর পাই। এখন আমরা আটকে আছি, যেতে পারবো কি না কিছুই জানি না।
গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা মো. সোলাইমান বলেন, ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে পথে আছি। সাজেকের গাড়ি না ছাড়লে হোটেলে উঠব কি না সে চিন্তায় আছি।
তবে এখন পর্যন্ত শহরে ও আশপাশে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর