
এশিয়ান টেলিভিশনের ঢাকা দক্ষিণের রিপোর্টার ফয়সাল মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন আহত সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় আকরাম খাঁ হলে আহত সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ এবং তার আহত স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে আহত সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ বলেন, তার পৈতৃক ভিটা দখল, ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এবং তার ও তার স্ত্রীর ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজান মোল্লা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
ফয়সাল মাহমুদ অভিযোগ করেন, মিজান মোল্লার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার পৈতৃক ভিটা দখলের পাঁয়তারা করছে এবং এর জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চাইতে তিনি বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওসি তাকে "তালা ভেঙে আপনি আপনার পৈতৃক বাড়িতে উঠুন" বলে পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ওসি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ফয়সাল মাহমুদ তার পৈতৃক বাড়িতে গেলে মিজান মোল্লার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার হাত ও পা ভেঙে দেয় এবং তার স্ত্রীর মাথাতেও গুরুতর আঘাত করে।
এই বর্বরোচিত হামলা, জমি দখল ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন থেকে ফয়সাল মাহমুদ তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হামলাকারী মিজান মোল্লাসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সকল সদস্যকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে, দায়িত্বে অবহেলার জন্য বাকেরগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। ফয়সাল মাহমুদ অভিযোগ করেন যে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এই হামলার মূল হোতা এবং তার ইন্ধনেই তারা হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ওসি থানা থেকে ফোর্স দিলে মিজান বাহিনীর হাতে এই হামলার শিকার হতে হতো না। ফয়সাল মাহমুদের অভিযোগ, মিজানের হুকুমেই থানা চলে।
এ বিষয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এবং পুলিশ প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর