• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৩ সেকেন্ড পূর্বে
মোস্তফা কামাল
সখিপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:২৮ রাত

বৃদ্ধা ফিরোজার আকুতি: "একটা ঘর আর টিউবওয়েল পেলে সারাজীবন দোয়া করতাম"

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম (৭৩) এক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জীর্ণশীর্ণ একটি মাটির ঘরে বাস করা এই বৃদ্ধা কেঁদে কেঁদে বলেছেন, "কোনো দয়ালু মানুষ যদি আমারে একটা ঘর বানাইয়া দিতো আর একটা টিউবওয়েল বসাইয়া দিতো, আমি সারাজীবন নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করতাম। রাতে যদি একটু শান্তিতে নামাজ পড়তে আর ঘুমাতে পারতাম, তবে সব দুঃখ ভুলে যাইতাম।"

ফিরোজা বেগমের ঘরটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। চারপাশের মাটির বেড়া হেলে পড়েছে, যা যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। চালে মরিচাধরা পুরনো টিন, যেখানে অসংখ্য ছিদ্র ও ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি অনায়াসে ঘরে ঢুকে পড়ে। রাতে জায়নামাজের ওপর বসানো একটি পুরনো জলচৌকিতেই তাকে ঘুমাতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি একসঙ্গে হলে ওই ঘরে থাকা আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে।

বিশ বছর আগে বিধবা হওয়া ফিরোজা বেগমের স্বামীর রেখে যাওয়া ভাঙা মাটির কোঠা ঘর ছাড়া কোনো জমিজমা নেই। অন্যের টিউবওয়েলে পানি আনতে এবং অন্যের ল্যাট্রিন ব্যবহারে তাকে প্রতিনিয়ত গালমন্দ শুনতে হয়। তাই তিনি একটি নতুন ঘরের পাশাপাশি নিজের ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েলও চাইছেন, যাতে নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারেন। বয়সের সঙ্গে তার চলাফেরার শক্তিও কমে যাচ্ছে এবং শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। ফিরোজা বেগম জানান, ছানি পড়া চোখ দুটি অন্যদের সহযোগিতায় অপারেশন করানো হয়েছে, এখন তিনি ভালো দেখতে পান এবং চশমা দিয়ে কোরআন পড়তে পারেন। কিন্তু প্রতিরাতে ঝড়-বৃষ্টির আতঙ্কে তাকে থাকতে হয়।

ফিরোজা বেগমের তিন ছেলে থাকলেও তারাও নিজেদের সংসার নিয়ে টানাপোড়েনে আছেন, ফলে মায়ের জন্য ঘর নির্মাণ বা সহযোগিতা করার সামর্থ্য তাদের নেই। জমিজমা না থাকায় অন্যের শৌচাগারে যেতে হয় তাকে। সব মিলিয়ে তার জীবন যেন এক কষ্টের শোকগাথা।

স্থানীয়রা জানান, অবিলম্বে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ফিরোজা বেগমকে একটি ঘর, টিউবওয়েল এবং বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা প্রয়োজন, অন্যথায় এই অসহায় বৃদ্ধার মানবেতর জীবনযাত্রা চলতেই থাকবে। প্রতিবেশী নার্গিস আক্তার জানান, ফিরোজা বেগমের দুর্দশা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এবং তিনি এখনো কোনো সরকারি সহায়তা পাননি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন এবং শিগগিরই তার জন্য সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদও বলেছেন, ফিরোজা বেগমের জন্য সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

কুশল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com