
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের পালিশারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম জানান, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা ইলিয়াস হোসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে নিয়ে বিকৃতকর একটি ছবি শেয়ার করেন। যার ফলে গতকাল বিকেল থেকে এ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। আজ সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাওলানা ইলিয়াসকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মিজী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নেছার আহম্মেদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি কামালসহ প্রায় ১০জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকি ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও পালিশারা শাহমিরান মিরা বাড়ী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইলিয়াস হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে একটি ছবি আমার অসাবধানবশত শেয়ার হয়েছে। বিষয়টি আমাকে কয়েকজন জানানোর পর আমি ডিলেট করে দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মোবাইলটি ঘরে থাকে, অনেক সময় বাচ্চারা ব্যবহার করে, এতে বাচ্চারাও শেয়ার করতে পারে। ঘটনা যা হয়েছে, আমি ফেসবুকে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তার পরেও আজ সকালে বসার কথা ছিল। আমার উদ্দেশ্য ছিল, আমি ক্ষমা চাইব। কিন্তু তারা বসার আগেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তারেক রহমান নিয়ে একটি এডিট করা ছবি শেয়ার করেন। ওই পোস্টকে মানহানিকর উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর ইলিয়াস হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে পোস্টটি মুছে ফেলেন।
তারা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বৈঠকের কথা থাকলেও এর আগেই উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২৪ জন আহত হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, জামায়াত ইসলামীর ৮ সমর্থককে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, `দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর