
জয়পুরহাটে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, যার ফলে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে।
গত পাঁচ দিনে দুই শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু রোগী জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোগীর চাপে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যায় জায়গা না হওয়ায় অনেককে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে হাসপাতাল চত্বরে পা ফেলারও জায়গা নেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুষ্ক মৌসুম, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং দূষিত পানির ব্যবহার ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার নিয়াজ মোস্তাক চৌধুরী বলেন, "জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে প্রচুর ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। নারী, শিশু, বয়স্কসহ সব বয়সের মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শুধু ২ অক্টোবর ৭৪ জন রোগী ভর্তি হন। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। রোগীরা যে পরিমাণ স্যালাইন খাওয়ার দরকার, সে পরিমাণ খাচ্ছে না। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খেতে হবে। এছাড়া সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"
জয়পুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া মহল্লার পারভীন ও আবু বকর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, "ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ।
হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে।" তিনি সবাইকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর