
খুলনা শহরের বসুপাড়া এলাকায় লিটন খান হত্যার ঘটনায় তার কিশোর ছেলে ও পুত্রবধূ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা মহানগর হাকিম রাকিবুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করার পর বিচারকের নির্দেশে দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২ অক্টোবর রাতে বসুপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে লিটন খানের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার ছোট ছেলে ও ছেলের নববিবাহিতা স্ত্রী পলাতক ছিলেন। গত শনিবার ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শণ কুমার রায় জানান, নিহত লিটন খান ফেরি করে মাছ বিক্রি করতেন। সম্প্রতি তিনি একটি সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তার ছোট ছেলে সেই ঋণের একটি অংশ নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এক কিশোরীকে বিয়ে করে। পরে স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় ফিরে আসে। এ নিয়ে পরিবারে বিরোধ দেখা দেয়।
হত্যার দিন বিকেলে ছেলে চায়ের সঙ্গে ছয়টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ায়। অসুস্থ হয়ে পড়লে, গলায় গামছা পেঁচিয়ে এবং বটি দিয়ে কেটে তাকে হত্যা করা হয়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর