
বাংলাদেশের পানি ও জ্বালানি চুক্তি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান আবরার ফাহাদ। সেই মত প্রকাশের ‘অপরাধে’ ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান তিনি। আজ সেই ঘটনার ছয় বছর পূর্ণ হলো।
সময় পেরিয়ে গেছে ছয়টি বছর, কিন্তু থেমে আছে ন্যায়বিচারের চাকা। ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, বিছানা ও পড়ার টেবিল আজও আগের মতোই সাজানো রয়েছে কুষ্টিয়ার বাড়িতে। তবে নেই আবরার এই শূন্যতাই প্রতিদিন তাড়া করে মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকত উল্লাহকে।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, “ছেলে হত্যার ছয় বছর কেটে গেলেও বিচার কার্যকর হয়নি। কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক। আমরা সরকারের কাছে দ্রæত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।”
২০১৯ সালের ওই রাতে আবরারকে হত্যা করে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। ঘটনার পরদিন চকবাজার থানায় মামলা করেন আবরারের বাবা। মামলার রায় ঘোষিত হলেও পলাতক আসামিদের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবারসহ কুষ্টিয়াবাসী।
স্থানীয়দের ভাষায়, দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন নৃশংস হত্যাকাÐ কেবল আবরারের পরিবার নয়, পুরো কুষ্টিয়াকেই দগ্ধ করেছে। তারা দ্রæত রায় কার্যকর করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আবরার বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখতেন। তার আদর্শ ধারণ করে আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কাজ করছি।”
গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা সুলতান মারুফ তালহা বলেন, “রায় কার্যকর না হওয়ায় আবরারের আত্মত্যাগ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আমরা ন্যায়বিচারের পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
আইন ও আদালত এর সর্বশেষ খবর