
জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক–১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি স্মারক জারি করা হয়।
উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলীর সই করা ওই স্মারকে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছিল, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশনা দেবে এবং তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক এখনো তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় বেতন-ভাতা বন্ধ অবস্থায় আছেন। ফলে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্মারকটি দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, একইদিন প্রকাশিত আরেকটি স্মারকে বলা হয়েছে, তদন্ত করে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন–ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন। তাই তাদের নাম ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন–ভাতা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা দেন, তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর