• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৫৬ সেকেন্ড পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
সম্পাদনা: সালাউদ্দিন আহমেদ
সাব এডিটর
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১০ দুপুর

সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে সরকারের ‘সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি’ (ইপিআই)-এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু ও কিশোরকে এক ডোজের টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) দেওয়া শুরু হয়েছে। 

রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে একযোগে শুরু হয়েছে শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি। মাসব্যাপী এই টিকা কর্মসূচি চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই টিকা টাইফয়েড প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, এক ডোজের ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় বাংলাদেশে এই টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতা এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই টিকা গ্রহণই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

টিকা গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে সন্তানের ১৭-সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে অনলাইনে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

তবে যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তারা নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে। নিবন্ধন ছাড়াও টিকা নেওয়া যাবে, তবে সনদ পেতে জটিলতা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি শিশু নিবন্ধন করেছে। কর্মকর্তারা জানান, টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বর্তমানে বিশ্বের ২১টিরও বেশি দেশে এই টিকা ব্যবহার হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এত বৃহৎ পরিসরে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় এটি সফল করা সম্ভব হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সংক্রমণ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে থাকে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ক্ষুধামন্দা ও ডায়রিয়া। ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি মৃত্যুবরণ করে। আক্রান্তদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]