
রৌমারী উপজেলায় তড়কা(অ্যানথ্রাক্স) রোগ প্রতিরোধে মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুস সামাদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান পাইকার।
এসময় আরও যারা উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন রুবেল হোসেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মজিদা খাতুন , রাসেল মিয়া উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সহ প্রমুখ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাংস ব্যবসায়ী, জবাইকারী, হাট-বাজারের প্রতিনিধিসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, অসুস্থ বা মৃতপ্রায় গবাদি পশু জবাই ও মাংস বিক্রি সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। এমন কার্যক্রম জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, অ্যানথ্রাক্স একটি অত্যন্ত সংক্রামক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। তাই পশু জবাইয়ের আগে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাজারে বিক্রির আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার দৃঢ় অবস্থানে আছে। অসুস্থ পশু জবাই ও মাংস বিক্রির মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান পাইকাড় জানান, দেশে অ্যানথ্রাক্স রোগ সংক্রমণের প্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া কোনো পশু জবাই না করার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদের রোগ শনাক্তকরণ, মাংস পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করার বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর