
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)-র নেতৃবৃন্দরা মন্তব্য করেছেন যে, গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে এখন প্রত্যাশিত সংস্কার অপরিহার্য। বক্তারা আরও বলেন, "২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরও জনগণ প্রত্যাশিত সংস্কারের বাস্তব ফল পাচ্ছে না।"
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুরে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের চেয়ারম্যান সোহেল রানা আরও বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা সঠিক পথে থাকলেও জনগণের কাছে সংস্কারের পূর্ণ সুফল পৌঁছাতে সময় লাগছে।"
মহাসচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, "স্বৈরাচার পতনে তরুণদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা জরুরি। নইলে রাজনীতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার।" ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরুল হক তার বক্তব্যে বলেন, "জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন ব্যতীত নির্বাচন হলে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ব্যর্থ হবে। দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা জরুরি। নইলে যেকোনো সময় স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।"
তৃণমূলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলনটি এক উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো: মেহেদী হাসান, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদির কাজল, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সোহাগ মো. সজিব খান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মাহবুবর রহমান শিপন ও সাইফুজ্জামান টুলুল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিআরপি'র সদস্য সচিব মো. হাসিম হোসেন, সঞ্চালনা করেন খুলনা জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ ওয়াসিম রেজা।
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)-র নেতৃবৃন্দরা আরও মন্তব্য করেছেন যে, প্রত্যাশিত সংস্কার না হলে দেশের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করা আদৌ সম্ভব নয়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর