
নোয়াখালী জেলায় মসজিদে ছাত্রশিবিরের দারসুল কুরআন তালিমকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত হয়েছে ৩০ জন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গতকাল কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবিরের দারসুল কোরআন শিক্ষা চলাকালে যুবদল নেতার হামলা ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর প্রতিবাদ হিসেবে বিকেলে ওই মসজিদে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতার কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার আছরের নামাজের পর দারসুল কোরআন শুরু হলে বাহির থেকে জিয়ার স্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারপর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে অবস্থান করছে এবং বাহিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন। অল্প কিছু সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
রাকসু নির্বাচন ঘিরে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা করেছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে শুয়ে আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। বারবার মসজিদে হামলা হচ্ছে।বাহিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে।
এদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল বলেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সুধরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পুলিশ আসতে একটু সময় লেগেছে।বর্তমানে সেনাবাহিনী রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর