বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন পাওয়া শেরপুরের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধে।
এতে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে শহরজুড়ে জামায়াত ও বিএনপি উভয় দলের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়, পরে বিএনপি সমর্থকরা জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে উভয় দলের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং রাতে শহরে পাল্টাপাল্টি মিছিল করে।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ডাকপাড়া এলাকায় আমাদের প্রার্থী গণসংযোগে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। প্রার্থীকে রক্ষা করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। ইতোমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে, প্রশাসন যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিএনপি যদি জনগণের অনুভূতি বুঝতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে।
অন্যদিকে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে রাত ৯টায় শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল।
তারা কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে তারা সরে যায়। এরপর থানায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে এবং দায় আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।
তিনি এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও মামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর