যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে কোকেইন উৎপাদন ও পাচার রুটগুলো লক্ষ্য করে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, মাদকবিরোধী অভিযানে নতুন এক কৌশল গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে যে ভেনেজুয়েলার কিছু অঞ্চল কোকেইন পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সেই রুটগুলো নির্মূল করাই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অগ্রাধিকার। তবে ভেনেজুয়েলা সরকার এই পরিকল্পনাকে উস্কানিমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের জলসীমা ও আকাশসীমা রক্ষায় কোনো ছাড় দেব না। বিদেশি হুমকি প্রতিহত করতে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হবে।”
যদিও ভেনেজুয়েলা সরাসরি কোকেইন উৎপাদনকারী দেশ নয়, কলম্বিয়া, পেরু ও বলিভিয়া থেকে আসা মাদক পাচারে দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, লাতিন আমেরিকায় মাদক প্রবাহ বন্ধ করতে ভেনেজুয়েলার রুট বন্ধ করা জরুরি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহভাজন এক “ড্রাগ বোট”-এ হামলা চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব অভিযান মাদকবিরোধী যুদ্ধের অংশ এবং প্রয়োজনে সীমান্তের বাইরেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সামরিক উত্তেজনা বাড়লে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সূত্র: CNN, Reuters, AP News.
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর