যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের রিটেক সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪ ঘটিকায় যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের গ্যালারিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি ও অনুষদীয় ডিন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. কোরবান আলী, কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মরিয়ম জামিলা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফারজানা নাসরিন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সাত মাসেরও অধিক সময় ধরে ‘রিটেক’ জনিত সমস্যার সুরাহার জন্য বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও যবিপ্রবি প্রশাসন বিভিন্ন অজুহাতে কেবল কালক্ষেপণ করে আসছে। অবশেষে, এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। তবে সভা শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা চরমভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভা শেষে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসফি বলেন, আমরা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিগত সাত মাসেরও অধিক সময় ধরে এই রিটেক সমস্যা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছি। এই সময়ে প্রশাসনের কাছে বারবার ধরনা দিয়েছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আশ্বাসও খুব বেশি পাইনি। বরং কর্তৃপক্ষ কেবল বিভিন্ন রকম যুক্তি দেখিয়ে এবং নিয়ম-কানুনের দোহায় দিয়ে সুকৌশলে কালক্ষেপণ করেছে। আজকের মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল যে, হয়তো অবশেষে সমস্যার একটা স্থায়ী ও যৌক্তিক সমাধান পাব। কিন্তু সভা শেষে আমরা দেখলাম, আমাদের মূল দাবিগুলো সেভাবে গুরুত্ব পেল না এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো স্পষ্ট সময়সীমা বা কার্যকর রূপরেখা দেওয়া হলো না। প্রশাসন যদি এভাবে কেবল যুক্তি ও অজুহাত দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে, তাহলে আমাদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আর দেরি চাই না। দ্রুত একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও বাস্তবসম্মত সমাধান চাই।
শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টির বিষয়ে একমত পোষণ করে সংশ্লিষ্ট কমিটি ও ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মতামত শুনেছি এবং রিটেক সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। তবে সত্যি বলতে, সভা শেষে আমার কাছেও মনে হয়েছে শিক্ষার্থীরা কিছুটা অসন্তুষ্ট। তবে আমরা অবশ্যই সকল ডিনকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে সে সম্পর্কিত একটি সুপারিশমালা একাডেমিক কাউন্সিলে প্রেরণ করব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর