ফারিয়া সুলতানা, একজন সদ্য স্নাতক, আজও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে পড়ে। তখন তার বেশিরভাগ সহপাঠী ল্যাপটপ নিয়ে ক্লাসে আসত। কিন্তু, তার কাছে কেবল একটি স্মার্টফোন ছিল; আর তার মনে হতো এটা হয়তো যথেষ্ট নয়। তবে ফারিয়া যখন তার ফাইনাল সেমিস্টারে পৌঁছায়, ততদিনে তার জীবনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সে তার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেবল স্মার্টফোন দিয়ে শেষ করেছে। অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শুরু করে প্রেজেন্টেশন, শুরুতে এসব অসম্ভব মনে হলেও, সবকিছুই তার স্মার্টফোনে করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফারিয়া বুঝতে পেরেছে, ল্যাপটপ ছাড়াও যেকোনো কাজ ভালোভাবে করা সম্ভব। সে তার পড়াশোনার ৯০ শতাংশ কাজই স্মার্টফোন দিয়ে করেছে; গবেষণা, গ্রুপ প্রজেক্ট থেকে শুরু করে প্ল্যানিং ও অ্যাসাইনমেন্ট, সবকিছু! খুব বেশি জরুরি হলে, সে তার ভাইয়ের ল্যাপটপ ব্যবহার করত। তবে, তাও বদলে যায় যখন টেকনো তার নতুন এআই-সক্ষম ফোনগুলো বাজারে আনে। নতুন টেকনো মডেলে আপগ্রেড করার পর তার কাজের চাপ একেবারে নাই হয়ে গেলো; এখন ফোনেই এমন অনেক কিছু করা যায় যার জন্য আর ল্যাপটপ বা বড় কোনো ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। হাতে সময় কম, করতে হবে প্রুফরিড – চিন্তার কিছু নেই কারণ টেকনো ফোনের এআই ফিচার দিয়ে খুব সহজেই প্রুফরিড করা যায়, এছাড়া আরও অনেকগুলো এআই ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-ছবি থেকে এডিটেবল টেক্সট তৈরি করা যায় যা পিডিএফ, ওয়ার্ড বা এক্সেলে কনভার্ট করা যায়, যেকোনো ক্যালকুলেশন জাস্ট কমান্ডের মাধ্যমে সলিউশন করা, সার্কেল টু সার্চ ফিচারের মাধ্যমে যেকোনো সাবজেক্টের ডিটেইলস জানা, টেক্সট সামারি, কমান্ডের মাধ্যমেই মেইল লেখাসহ আরও অনেক দরকারি ফিচার যা ডেইলি লাইফ আরও সহজ করেছে।
ফারিয়ার মতো গল্প আজকাল বেশ সাধারণ। বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখন তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল। এই জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে, বেশিরভাগের জন্যেই এটি কেবল একটি পছন্দ নয়, বরং প্রয়োজন। একটি ভালো ল্যাপটপ অনেক সময় প্রিমিয়াম প্রাইসিং এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীর বাজেটের বাইরে চলে যায়। কিন্তু, শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি স্মার্টফোনের দাম কত হতে পারে? সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসে এখন পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন উপকারী ফিচার; ফলে, খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সাশ্রয়ী ও ব্যবহারিক উপায়টি শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

টেকনোর নতুন স্মার্টফোন পোভা ফাইভজি আসলে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, এর পেছনে এটাই হলো কারণ। এটি ফারিয়ার মতো হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা মনে করে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনও শক্তিশালী কোনো উপায় হতে পারে। টেকনোর এই সিরিজটিতে তিনটি মডেল রয়েছে- পোভা ৭ প্রো ফাইভজি, পোভা কার্ভ ফাইভজি ও পোভা স্লিম ফাইভজি। যা অ্যাকাডেমিক কাজের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত, ক্যাম্পাসে বাকিদের তুলনায় বেশ স্টাইলিশ, আবার একইসাথে সাশ্রয়ী।

অ্যাকাডেমিক কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অনন্য হলো এই সিরিজের পোভা ৭ প্রো ফাইভজি। গবেষণা ট্যাব চালানো, প্রেজেন্টেশন ভিডিও এডিট করা অথবা ডকুমেন্ট অ্যাপস ও ভিডিও কলের মধ্যে ক্রমাগত সুইচ করা, যাইহোক না কেন, এর ডায়মেনসিটি ৭৩০০ আল্টিমেট ফাইভজি প্রসেসর ও হাইপারগেমিং ইঞ্জিন ফ্ল্যাগশিপের মতো পারফরম্যান্স দেয়। এর ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ১৪৪ হার্জ ১.৫কে ডিসপ্লে এবং কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭আই প্রটেকশন দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণাপত্র পড়াকে আরামদায়ক করে তোলে। আর এর স্ট্যাটাস লাইট নোটিফিকেশনসহ ইন্টারস্টেলার স্পেসশিপ ডিজাইনের কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নজর এড়িয়ে যাবে না। শিক্ষার্থীদের জন্য আরও প্রয়োজনীয় সুবিধা হলো এর সুবিশাল ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ ও ৩০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জ সাথে ফ্রি ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক। একবার ভাবুন তো, আপনি সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্লাসে আছেন, লেকচার রেকর্ড করছেন, নোট নিচ্ছেন, আবার পড়াশোনাও করেছেন, তাও আপনার ব্যাটারি শেষ হয়নি! এটাই হলো পোভা ৭ প্রো ফাইভজি! প্রতিদিনের ব্যবহারকে আরও সহজ ও স্মার্ট করতে এতে এআই রাইটিং, প্রবলেম সলভিং, কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সার্কেল-টু-সার্চ ও এআই স্টুডিওর মতো টেকনোর সর্বাধুনিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ও ১৬ জিবি র্যাম ফোনে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নিশ্চিত করে যেন লেকচার, ফাইল ও ডকুমেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে সংরক্ষণ করা যায়।

আর যারা অ্যাকাডেমিক কাজের পাশাপাশি গেম খেলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য “পোভা কার্ভ ফাইভজি” একদম যথার্থ। এর ডায়মেনসিটি ৭৩০০ ফাইভজি প্রসেসর ও হাইপারগেমিং ইঞ্জিন পাবজি খেলার ক্ষেত্রেও ৯০ এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড) নিশ্চিত করে। এর পাওয়ারফুল প্রসেসর যেকোনো অ্যাপ যেমন পাওয়ারপয়েন্ট, ওয়ার্ড বা এক্সেল ব্যবহারে স্মুথ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এর ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ১৪৪ হার্জ এফএইচডি+ ডিসপ্লে এবং কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭আই প্রটেকশন শিক্ষার্থীদের জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ৫৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ লম্বা গেমিং সেশন বা গ্রুপ স্টাডির দীর্ঘ সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তোলে। এর ইন্টারস্টেলার স্পেসশিপ ডিজাইন আভিজাত্য এনে দেয়। আর ডলবি অ্যাটমোস ডুয়েল স্পিকার অনলাইন লেকচার থেকে শুরু করে বিনোদন কনটেন্ট সবকিছুতেই প্রিমিয়াম অডিওর অভিজ্ঞতা দেয়। পোভা কার্ভ ফাইভজিতে স্টাইল ও পাওয়ারের অনন্য সমন্বয় করা হয়েছে, যেন এটি গেমার ও প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য একদম উপযুক্ত হতে পারে। এই সমন্বয়ের ফলে শিক্ষার্থীরা এখন অনায়াসে অ্যাকাডেমিক কাজ করার পাশাপাশি বিনোদনও উপভোগ করতে পারবেন।

পোভা ফাইভজি সিরিজের আর একটি মডেল হলো “পোভা স্লিম ফাইভজি”। এটিকে বলা চলে, ইঞ্জিনিয়ারিং আর্ট। মাত্র ৫.৯৫ মিলিমিটার স্লিম এই ডিভাইসটি বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি-কার্ভড ফাইভজি স্মার্টফোন। অথচ, এতে রয়েছে ৫১৬০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট সুপার চার্জিং ও সুবিশাল ২৪,৫৩২ বর্গ মিলিমিটারের কুলিং সিস্টেম। এটি অ্যারোস্পেস-গ্রেড উপাদান এবং ফ্ল্যাগশিপ-লেভেলের ফাইবারগ্লাস ব্যাক দিয়ে তৈরি। ডিভাইসটি এমআইএল-এসটিডি-৮১০এইচ মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স টেস্টেও উত্তীর্ণ হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় যে এটি কতটা টেকসই হতে পারে! এর মুড লাইট ফিচার ডাইনামিক লাইটিং ইফেক্ট যোগ করে, যা ফোনটিকে একটি অনন্য ফ্যাশনে পরিণত করে। এর আলট্রা-থিন প্রোফাইল, ডায়মেনসিটি ৬৪০০ ফাইভজি+ প্রসেসর ৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। আবার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রজেক্টগুলোর ব্যাকআপ রাখার ক্ষেত্রে এর ৫০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ অনন্য ভূমিকা রাখে। ক্লাউড স্পেসের পাশাপাশি এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং ১৬ জিবি র্যাম (৮ জিবি + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেট) ফোনটির সৌন্দর্য্য ও সক্ষমতার পাশাপাশি ব্যবহার উপযোগিতাও বাড়িয়ে তোলে। ফারিয়ার মতো শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্যকর ডিভাইসটি সব কাজ করতে সক্ষম।
টেকনোর স্মার্ট এআই এই পোভা ফাইভজিকে আরও বেশি আলাদা করে তুলেছে বলা চলে অ্যাকাডেমিক পার্টনার করে তুলেছে। এর এলা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট সহজ ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ডেডলাইন মিট করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও কাজের তালিকা সাজাতে সহায়তা করে। এর এআই রাইটিং মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রুফরিডিং, ড্রাফট লেখা ও অ্যাসাইনমেন্ট গোছানোর মাধ্যমে ইনবিল্ট এডিটর হিসেবে কাজ করে। ফলে, অ্যাসাইনমেন্ট করার সময় এখন থেকে আর অতিরিক্ত চাপ নিতে হবে না। এছাড়া, কোনো শব্দ বা চিত্রকে বৃত্তাকারে চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা পাওয়ার সুযোগ করে দেয় এর সার্কেল টু সার্চ ফিচার। হাতে লেখা নোট বা টেবিলকে এডিটেবল টেক্সটে রূপান্তর করে এআই ডকুমেন্ট টুল; এর এআই ইরেজার, কাটআউট, স্টুডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন ফিচারগুলো ভিজ্যুয়াল ও প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজ করে দেয়; এক ডিভাইসেই।
কেবল পড়াশোনার জন্য নয়, পোভা ফাইভজি ক্যাম্পাস জীবনের প্রতিটি অংশকে সমৃদ্ধ করে তোলে। এর ফিউচার-প্রুফ ফাইভজি কানেক্টিভিটি শিক্ষার্থীদের ফাস্ট ডাউনলোড করতে সহায়তা করে, লেকচার স্ট্রিম করা বা যেকোনো অনলাইন টাস্ককে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তোলে। এর আইপি৬৪ প্রটেকশন ফোনটিকে সুরক্ষিত রাখে, এছাড়া এর এনএফসি, আইআর রিমোট ফিচারগুলো ডেইলি লাইফ সহজ করে।
এটা সত্যি যে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ আধুনিক শিক্ষায় বেশ বড় ভূমিকা পালন করে; তবে, স্মার্টফোন খুব দ্রুতই শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে। ফারিয়ার গল্পই এটি প্রমাণ করে। সঠিক ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখন গবেষণা করতে পারে, লিখতে পারে, ডিজাইন করতে পারে, অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিট করতে পারে; আর এই সবই তাদের ফোন থেকে করা যায়। নতুন টেকনো পোভা ফাইভজি ল্যাপটপের মতো পারফরম্যান্স ও স্মার্ট এআই টুলস সাশ্রয়ী দামে নিশ্চিত করে এই ধারণাকে আরও এক ধাপ এগিয়েনিয়েছে।
এই সিরিজের পোভা স্লিম ফাইভজি-র দাম মাত্র ২৯,৯৯৯ টাকা, পোভা কার্ভ ফাইভজি-র দাম মাত্র ৩২,৯৯৯ টাকা এবং পোভা ৭ প্রো ফাইভজি-র দাম মাত্র ৩৪,৯৯৯ টাকা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যারা আর্থিক বিষয় বিবেচনা করতে চান, তাদের জন্য এই ডিভাইসগুলো একদম যথার্থ হবে। এখন শক্তিশালী ব্যাটারি, স্মার্ট এআই ফিচার, পাওয়ারফুল প্রসেসর ও স্টাইলিশ ডিজাইনের এই পোভা সিরিজের ফোনগুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি উপযুক্ত হবে; যেন তারা যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় বসে শেখার সুযোগ পায়, জীবনে সফল হয়ে উঠতে পারে। এ দেশের অগণিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে এভাবেই ভূমিকা রাখবে টেকনোর এই সিরিজ।
সর্বশেষ খবর