 
          
 
সংশোধিত আরপিও বহাল রাখা ও সবার জন্য সমান রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল।
দলগুলোর দাবি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, আর আরপিও পরিবর্তনের যে প্রস্তাব এসেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে এই দাবি জানায় দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সঙ্গে বৈঠকের পর আট দলের পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম আট দলের পক্ষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় অন্য সাত দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১ টার পরে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন , খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সিইসি'র কাছে স্মারকলিপি দেন।
তিনি বলেন, আজ সিইসির সাথে দেখা হয়েছে। বর্তমান আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। জুলাই সনদে ২৫টি রাজনৈতিক দল এসে স্বাক্ষর করেছি। নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একদিনে নয়। গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। সংশোধিত আরপিও নিয়ে কোনো কোনো দল সংশোধনী আনতে বলেছে। আমরা বলেছি আরপিও হুবহু বহাল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আট দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্মারকলিপি দেয়ার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী তিন তারিখ নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে। সিইসি আমাদের কথা শুনেছেন। দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে উনাদের ভূমিকার কথা বলেছেন।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থী কাজে থাকবে তারা ইনশা আল্লাহ জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে। জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন। তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আলাদা আলাদা আটটি দল স্মারকলিপি দিয়েছে। দাবি তিনটি।
যে ৫ দফা দাবি হলো-
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাযর্ক্রম নিষিদ্ধ করা।
এদিকে বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনসহ আরপিও পুনরায় সংশোধন চেয়েছে যাতে জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে রাজনৈতিক দলগুলো।
মুনতাসির/সাএ
 সর্বশেষ খবর