আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীকের তালিকা থেকে বিরুপ মন্তব্য যুক্ত বেগুন, বেলুন বাদ দিয়ে শাপল কলি, হ্যান্ডসেইকের মতো প্রতীক যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে- আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ঈগল,, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার,, কুড়াল, কুলা, কুঁড়ে ঘর, কোদাল, খেজুর গাছ, গরুর গাড়ি, গাভী, গামছা;, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল,, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন রয়েছে প্রতীকের তালিকায়।
আরো আছে ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙ্গর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিক্সা,, লিচু, লাঙ্গল, সোনালী আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
বাদ- কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ,ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন,লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস, ফুলের টব,
তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে- উট, চিরুনি, টর্চ লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল,তালা, দোতলা বাস, পাগড়ী, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি, হ্যান্ডসেইক।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, "আমরা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলটা সংশোধন করেছি। কিছু কিছু প্রতীক নিয়ে কিছু মন্তব্য আমরা শুনেছি—যেমন কেউ বলেছে, এটা রাখলে কেন, না রাখলে ভালো হতো, রাখা কি যৌক্তিক হয়েছে কিনা ইত্যাদি। এই বিবেচনায়, আগে যে ১১৫টা প্রতীক ছিল, তার থেকে আমরা ১৬টা প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন করে প্রতীক নিয়ে ১১৯টা প্রতীক এবার শিডিউল করেছি।"
সংশোধিত প্রতীকের তালিকার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন,আমি বারবার করে বলছি যে কিছু প্রতীক সম্পর্কে বিরূপ মতামত ও মন্তব্য এসছে। ওভার দা পিরিয়ড অফ টাইম, কোন একটা পর্যায়ে কমিশন মনে করেছে, এটা সংশোধন করলে করা যেতে পারে। সেই হিসেবে সংশোধন হয়েছে। ব্যাপারটা এখন আর তখনের নয়। কমিশন দরকার মনে করেছে, করেছে। যদি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হয় আবার সংশোধন করবে। এটা তো কোন স্ট্যাটিক বিষয় না। কোন আইন বিধির প্রয়োজন হয় না…..এখানে নতুন করে বিতর্কের যোগ দেখছি না।”
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর