কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের পুরুড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আশিলা বেগম ওই গ্রামের মৃত শামছু মিয়ার স্ত্রী। তার চার ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ভুগছিলেন। প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাকে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরের ভেতরে রাখা হতো।
ঘটনার রাতে আগের মতো জসিমকে শিকল দিয়ে খাটের সাথে বেঁধে রাখা হয়। রাতের খাবার শেষে মা আশিলা বেগম ও ছেলে জসিম একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরের দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয়। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, জসিমের পায়ের শিকল খোলা এবং সে ঘরে নেই। এ সময় আশিলা বেগমের দেহ নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে তাড়াইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
তাড়াইল থানার ওসি (তদন্ত) শ্যামল মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জসিম উদ্দিন তার মাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর