চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের দুটি ব্যানার টানানোর ঘটনা ঘটেছে। ব্যানারটি দেখার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
রবিবার (২ নভেম্বর) ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তবে সকাল হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা ব্যানারগুলো খুলে ফেলেন।
জানা গেছে, দুটি ব্যানারের একটি সাঁটানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের উত্তর পাশে, অন্যটি ছাত্রদের আবাসিক আলাওল হলের প্রধান ফটকে। দুটি ব্যানারেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল। ব্যানারের নিচে ‘প্রচারে–চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’ উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকেও কোনো পোস্টার ছিল না। কিন্তু ভোর পাঁচটার দিকে দেখি ফটকে ব্যানার লাগানো হয়েছে। কারা লাগিয়েছে, জানি না।
চাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা ইব্রাহিম রনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি স্থানে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, এটি শহিদ তরুয়া ও শহিদ ফরহাদের রক্তসিক্ত পবিত্র ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ছাড় নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আলাওল হলের গেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ব্যানার সাঁটিয়েছে। রাতের আঁধারে এই কাজ করেছে তারা। প্রশাসনে থাকা কিছু সাবেক ছাত্রলীগার এতে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর