গাজীপুর-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়া এনামুল হক মোল্লাহকে (৪৮) অস্ত্রসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী। একই সঙ্গে তার ছয় সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলার বরকুল গ্রামের এনামুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এনামুল হক মোল্লাহ শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের প্রয়াত আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সৌদি আরবের মক্কা মিছফালাহ শাখা বিএনপির সভাপতি। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এনামুল হক মোল্লাহ। পোস্টার ও ব্যানারে পুরো এলাকা ছেয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা জানান, একাধিক মামলা থাকার কারণে ২০১৭ সালে নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব পাড়ি জমান এনামুল হক মোল্লাহ। ভিসা ও পাসপোর্টে তার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সৌদি আরব থেকে তিনি দেশে আসেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এনামুল হক মোল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ৬ সহযোগীকে আটক করে যৌথ বাহিনী। আটকরা হলেন- শওকত মীর, জাহিদুল ইসলাম,মোস্তফা কামাল, সিদ্দিকুর রহমান, বুলবুল ও তোফাজ্জল।
ওসি বলেন, তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ওয়াকিটকি, ৪টি বেটন, ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি হ্যামার নেল গান ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এনামুল হক মোল্লাহর ছোট ভাই আশরাফুল মোল্লাহ বলেন, গাজীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় এনামুল হক মোল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘এনামুল হক মোল্লাহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ২০০১ সালে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।’
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর