ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৮০০ পিস টেপেন্টা-ডল ট্যাবলেটসহ সিরাজুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।

ট্যাবলেটটি ইয়াবা বা হেরোইনের মতোই ভয়ংকর বলে জানা গেছে এবং এটি নেশা হিসেবেই সেবন করেন মাদকসেবীরা। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বারবাজার ফুলবাড়ী এলাকা থেকে ওই ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করা হয়। সিরাজুল কুষ্টিয়ার ইবি থানার উজান গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদকসহ তাকে কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা বারবাজার ফুলবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় রেলগেট সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর থেকে সিরাজুলকে আটকের পর ১৮০০ পিস টেপেন্টা-ডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

হাইওয়ে ওসি আরও জানান, উদ্ধারকৃত টেপেন্টা-ডল ট্যাবলেটটি একটি নতুন মাদক হিসেবে সেবন করছেন মাদকসেবীরা। এটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি ঔষধ কোম্পানি তৈরি করে থাকে। ভারতে এটি ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু মাদক কারবারী ও ঔষধ ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এদেশে এনে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, মাদকসেবীরা এটি অতিরিক্ত সেবনের পর নেশায় ডুবে যায়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বৃহস্পতিবার মাদকসহ ব্যবসায়ী সিরাজুলকে কালীগঞ্জ থানাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, নতুন মাদকদ্রব্য টেপেন্টা-ডল ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বারবাজার হাইওয়ে পুলিশ। তারা মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে কালীগঞ্জ থানাতে সোপর্দ করেছেন বলে জানান তিনি।

মুনতাসির/সাএ