প্রতারণার মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের মনোনিত প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলিমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে শফিকুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকার জয় রেস্তোরায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরেও অভিযোগ দেন তিনি। ঘটনায় ঢাকার চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এলজিআরডির একটি রাস্তার কাজের জন্য ২৫% শেয়ার দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে ৬০ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নেন বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম খান। কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে জানতে পারেন এধরণের কোন কাজ তিনি পাননি। এটা ছিল তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণা।

পরে বিষয়টি তাকে জানানো হয় এবং টাকা ফেরত চাইলে তিনি ৬০ লাখ টাকার চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে চেক জমা দিলে জানতে পারেন তার ওই একাউন্টে কোন টাকা নেই। পরবর্তীতে টাকা চাইলে তিনি নানা তালবাহানা শুরু করেন এবং দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেন। একপর্যায়ে শফিকুল ইসলামকে টাকা না দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে আমিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, ব্যাংকে টাকা না থাকায় ২১ সেপ্টেমর তার দেওয়া চেক ডিজঅনার করা হয় এবং এনআই এক্ট ১৩৮ অনুযায়ী উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাঠানোর এক মাসের মধ্যে কোন টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

এদিকে, তিনি জানান, টাকা না পেয়ে তিনি গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরেও পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরেও তিনি কোন ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে নিরাপত্তা ও বিচার দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসময় সংবাদ সম্মেলন সাভার ও আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুনতাসির/সাএ