রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোড গড়ে উঠছে প্রযুক্তি খাতের আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র ‘ঢাকা কম্পিউটার সিটি’। হাজারী গ্রুপ এবং সিটি ডেভেলপমেন্ট এর যৌথ উদ্যোগে ১৫ তলা বিশিষ্ট এই আইটি কমপ্লেক্সটি এক ছাদের নিচে প্রযুক্তি ব্যবসা, সেবা ও উদ্ভাবনের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকা কম্পিউটার সিটি'র উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, এটি হবে দেশের সবচেয়ে আধুনিক আইটি বাণিজ্যিক ভবন। এখানে থাকছে রেডি দোকান ও অফিস স্পেস, যা পাওয়া যাবে ভাড়ার টাকায় সাব কাবলা (জমির) মালিকানা পদ্ধতিতে। পাশাপাশি উদ্যোক্তারা পাবেন ব্যাংক লোন ও সহজ কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের সুযোগ, যা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু সহজ করে তুলবে।
ঢাকা কম্পিউটার সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফায়ার সেফটি সিস্টেম, স্মার্ট বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট, পর্যাপ্ত পার্কিং, ব্যাকআপ জেনারেটর, হাই-স্পিড লিফট, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা। পাশাপাশি ভবনজুড়ে থাকবে সিসিটিভি মনিটরিং, ফায়ার অ্যালার্ম ও স্মার্ট অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম।
প্রযুক্তি পণ্যের ডিস্ট্রিবিউটর, রিসেলার, ই-কমার্স ব্যবসায়ী, মোবাইল ও হার্ডওয়্যার কোম্পানিগুলোর জন্য এই প্রকল্প হতে যাচ্ছে আদর্শ কেন্দ্র। এখানে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সার্ভার, রোবটিক্স, সিসিটিভি ও আইওটি পণ্যের সমন্বিত প্রদর্শনী ও বিক্রয় সুবিধা থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) পরিচালক ও ওয়েলকিন কম্পিউটার্স-এর স্বত্বাধিকারী এবং ঢাকা কম্পিউটার সিটি-এর অন্যতম উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম হাজারী বলেন, আমরা আইটি ব্যবসায়ীদের জন্য এমন একটি জায়গা তৈরি করছি, যা তাদের জন্য স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দেবে। ২০০৬ সালে আমরা ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ মাল্টিপ্লান সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, এখন ‘ঢাকা কম্পিউটার সিটি’ সেই সাফল্যেরই পরবর্তী ধাপ। এখানে ব্যবসায়ীরা মালিকানা সুবিধা পাবেন, পাশাপাশি ব্যাংক লোন ও সহজ কিস্তিতে দোকান কেনার সুযোগ থাকছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম বলেন, এটি শুধু একটি ভবন নয়, বরং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত বিনিয়োগ। ঢাকা কম্পিউটার সিটির মতো প্রকল্প উদ্যোক্তাদের জন্য একটি স্থায়ী ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করবে। এখান থেকে ভবিষ্যতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্যোগ ও উদ্ভাবন জন্ম নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
স্মার্ট টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের পরিচালক মোঃ মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন বলেন, স্থান হিসেবেই নয়, সমমনা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দূরদর্শীতায় ডিসিসি একটি শক্ত ভিত্তিতে রচিত হয়েছে। এটা সফল হবে। কেননা এখনও মানুষ মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করে।
ঢাকা কম্পিউটার সিটি পরিচালক এবং চেয়ারম্যান টেকনো গ্রুপ এর কামাল হোসেন সেলিম বলেন, ঢাকা কম্পিউটার সিটি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের আইটি হাব। আমাদের লক্ষ্য, রাজধানীতে এমন একটি স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে তোলা, যেখানে প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা একত্রে কাজ করতে পারবেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো দিয়ে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তুলছি। এটি দেশের প্রযুক্তি খাতকে আরও গতিশীল করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এর ডিএমডি আব্দুল্লাহ আল মামুন, গ্লোবাল ব্রান্ড প্রাইভেট লিমিটেড'র ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের প্রধান সমীর কুমার দাশ, ইসিএস'র ট্রেজারার নাসির, ভূঁইয়া গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শামীম এহসান, মার্ভেলাস কম্পিউটারের প্রধান নোমান সিকদার, এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতি সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম সোহেল, এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতির সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সেক্রেটারি মোঃ মনিরুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া, বিসিএস ট্রেজারার আবুল হাসান, এলিফ্যান্ট কম্পিউটার সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, মৃদুল, তানজিল, সাইদুল, কামাল, শুভ্র, তানজীল হসেন, আলিম প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর কম্পিউটার সমিতির নেতৃবৃন্দ মতিঝিল কম্পিউটার সম্মানিত নেতৃবৃন্দের নেতৃবৃন্দ উত্তরা কম্পিউটার সমিতির নেতৃবৃন্দ।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর