বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে লবণাক্ত এলাকায় কমলা চাষ করে সফলতা পেয়েে চমক দেখিয়েছেন কৃষক নাসির উদ্দিন মল্লিক।
উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের তৈয়ব আলী মল্লিকের ছেলে নাসির উদ্দিন মল্লিক। ২০২০ সালে পৈত্রিক আট কাঠা জমিতে ৫০টি কমলার চারা রোপণ করেন। রোপনের পরের বছর থেকে তার কমলা গাছে ফলন আসতে শুরু করে।
প্রতিটি গাছে প্রায় ৩০-৪০টি কমলা ধরে। এখন প্রতি বছর এ বাগান থেকে ১৮ থেকে ২০ মন পর্যন্ত কমলা বাজারজাত করতে সক্ষম হন। প্রতি বছর এ বাগান থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেন তিনি। গত বছর ফলন ধরেছে প্রায় ১৯ মণ। প্রতি মন কমলা তিনি ১৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, আমি প্রতিদিন বাগান থোকে ১৫/২০ কেজি করে কমলা তুলে বাজারজাত করি। এ বছরে তার কমলা বাগানে ফলন হয়েছে দ্বিগুণ। কমলাগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু ও খুবই মিষ্টি। এ বছর বাগান থেকে ২০ মণের অধিক ফল বাজারজাত করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। অতিরিক্ত লবণাক্ততায় যেখানে অন্য ফসল ফলাতে খুবই কষ্ট হয় তার মধ্যেও এ চায়না কমলার ফলন তার বাগানে অতিরিক্ত হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তর থেকে কমলা চাষের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ব্যক্তি বিশেষ নিজ উদ্যোগে এলাকা ভিত্তিক কিছু বাড়িতে কমলা চাষাবাদ করছে।
পুটিখালী ইউনিয়নে কৃষক নাসির উদ্দিন মল্লিক লবণাক্ত এলাকায় কমলা ফলিয়ে সফলতা পেয়েছেন। আমরা খোঁজখবর নিয়ে তাকে চাষাবাদে আরো ভাল পরামর্শ দেওয়ার চেস্টা করছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর