দুই-দুইটি আদালতের রায় তার পক্ষে এলেও এখনো দায়িত্বে ফিরতে পারেননি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আজিজুর রহমান। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও দায়িত্বে পুনর্বহাল না হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মাওলানা আজিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করে দ্রুত দায়িত্বে যোগদান ও পাঁচ বছরের বকেয়া সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবি জানান।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল তাকে অন্যায়ভাবে ও অবৈধ হস্তক্ষেপে ইমাম পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরদিন তিনি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৫২/২০২০ নং মামলা দায়ের করলে আদালত একই বছরের ১৫ জুলাই নির্দেশ দেন— মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইমামকে স্বপদে বহাল রাখতে হবে, নিয়মিত সম্মানী দিতে হবে এবং নতুন কোনো ইমাম নিয়োগ করা যাবে না।
কিন্তু প্রশাসন ওই রায় মানেনি। বরং উপজেলা প্রশাসন জেলা জজ আদালতে আপিল (মিস আপিল নং ১১/২০২০) দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর জেলা জজ আদালত আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে।
আদালতের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, মাওলানা মো. আজিজুর রহমানকে ইমাম পদে বহাল রাখতে হবে এবং দায়িত্ব পালনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য সুন্দরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুই আদালতের পরপর রায় তার পক্ষে যাওয়ার পর ইমাম আজিজুর রহমান বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া—দুই আদালতই আমার পক্ষে ন্যায়বিচার দিয়েছেন। এখন শুধু প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি। দায়িত্বে ফিরতে ও সম্মানী ভাতা পেতে চাই—এটাই আমার ন্যায্য অধিকার।”
এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “আদালতের লিখিত নির্দেশনা এখনো হাতে পাইনি। অফিসিয়ালি রায় পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় মুসল্লিদের দাবি, আদালতের রায় কার্যকর করে দ্রুত ইমামকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হোক, যাতে মসজিদে ধর্মীয় কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর