রাজধানীর মিরপুরের বেড়িবাঁধে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় নিহত হওয়া কিশোরের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাসে আগুন দিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয় সে।
এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কিশোরের নাম সাইয়াফ। তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। বাসে আগুন দেওয়ার সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। এরমধ্যে রুদ্র মোহাম্মদ নাাহিয়ান আমির সানি নামে ১৮ বছর বয়সী আরেক দুষ্কৃতকারী কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে শাহআলী থানাধীন উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে কয়েকজন যুবক প্লাস্টিকের বোতলে করে কেরোসিন ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেটির ভিডিও ধারণ করছিল তারা। বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসলে তারা এই দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে একজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাদের একজন প্রাণভয়ে পাশের তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং অন্য একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।”
তিনি বলেন, “সাঁতার না জানায় নদীতে ঝাঁপ দেওয়া দুষ্কৃতকারী পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন আটক দুষ্কৃতকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাসে অগ্নিসংযোগের এই ঘটনায় জনতার হাতে ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে নিহত দুষ্কৃতকারীর নাম সাইয়াফ (১৮) এবং আটক অপরজন রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান আমির সানি (১৮)।”
নাশকতামূলক এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর