২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণার এক সপ্তাহ পার হলেও শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। এ কারণে শরিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি বাড়ছে। তাদের ধারণা, সময় যত গড়াচ্ছে, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের ‘পিছিয়ে আসা’ ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে সমঝোতার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হতে পারে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, শরিকদের পছন্দের কিছু আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। পরবর্তীতে ওই প্রার্থীদের আসন ছাড়তে বলা হলে তারা কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথও বেছে নিতে পারেন। এতে শরিকদের অবস্থান বিব্রতকর হতে পারে।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের সম্ভাব্য নাম প্রকাশ করে। মাদারীপুর-১ আসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। তালিকা ঘোষণার মধ্যেই সারাদেশে নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ে, আর এই পরিস্থিতিতেই আসন বণ্টন নিয়ে নতুন সংশয় তৈরি হয় শরিক দলের মধ্যে।
এ অবস্থায় বুধবার থেকে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। প্রথম দিন আলোচনায় ছিল জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট; বৃহস্পতিবার বৈঠক হয় ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, শরিকদের জন্য প্রাথমিকভাবে ২২টি আসন বিবেচনায় রাখা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চকে ৫টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ৫টি, ১২ দলীয় জোটকে ৩টি, বিএনপি-ঘনিষ্ঠ বিএন (বিজেপি) কে ১টি, গণঅধিকার পরিষদকে ২টি এবং এলডিপিকে ২টি আসন দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও গণফোরামকে ১টি করে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
দলীয় সূত্র বলছে, কয়েকজন শরিক নেতাকে মৌখিকভাবে প্রার্থিতার ইঙ্গিত দিলেও চূড়ান্ত তালিকা এখনো প্রকাশ হয়নি। আবার যাদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের ‘উচ্চকক্ষের দায়িত্বে’ বিবেচনা করার প্রস্তাবও ভাবছে বিএনপি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর