সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলা দেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক তাওসিফ মাইমুনের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে পুনরায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১টায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎ তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল সংঘবদ্ধভাবে প্রধান ফটকের দিকে এগিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মিছিলটি মানববন্ধনের সামনে এসে স্লোগান ও উপস্থিত সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইনের নেতৃত্বে মিছিলকারীরা মানববন্ধনকে উপেক্ষা করে জোরপূর্বক এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শন করেন।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিকরা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজন করা কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করার মধ্য দিয়ে ছাত্রদল আবারও অসহিষ্ণু আচরণের পরিচয় দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাল বে লার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার এইচ এম মাহিন বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাদের মানববন্ধন দেখে স্লোগান দিতে শুরু করে। তারা আমাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের ট্যাগিং দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। যখন আমাদের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তারা মিছিল নিয়ে আমাদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।"
তিনি বলেন, "তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে আজকের এই শোডাউন মিছিল দেওয়া হয়েছে, মূলত ভীতি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। তারপরও আমরা ভয়কে উপেক্ষা করে আমাদের মানববন্ধন সম্পন্ন করেছি। ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে আমাদের ওপর যে আচরণ দেখিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"
সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও স্টা র নিউজের রিপোর্টার এইচ এম ইমরান হোসাইন বলেন, "গতকাল আমাদের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি তাওসিফ মাইমুন ভাইয়ের ওপর ছাত্রদলের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় ছাত্রদল আমাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের ট্যাগিং ও স্লোগান দিতে থাকে, যা কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না। তারা আমাদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের বেশ কয়েকজন সহকর্মী আহত হন। আমরা এমন রাজনীতি চাই না। আমরা সাংবাদিকতা করি, আমরা কারো শত্রু নই। ক্যাম্পাসে যা ঘটে তা জাতির সামনে তুলে আনা আমাদের দায়িত্ব।"
তিনি বলেন, "তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় এই জঘন্য হামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বনানী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হয়, আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। ছাত্রলীগের সময়ও সাংবাদিকদের ওপর এরকম হামলা হয়নি, কিন্তু ছাত্রদল ক্ষমতা পাওয়ার আগেই এমন ঘৃণ্য কার্যকলাপ শুরু করেছে।"
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর