ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আমন জমির ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। উপজেলায় এ বছর আমনের বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক ও কৃষাণীরা। তাদের মুখে এখন চওড়া হাসি।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ৫ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমি। ফলনও হয়েছে ভালো। উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন,কালামৃধা ইউনিয়ন,.আজিমনগর ইউনিয়ন, তুজারপুর ইউনিয়ন, ঘারুয়া ইউনিয়ন, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন, আলগী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, জমিতে কৃষকরা ধান কাটছেন। কেউ কেউ আবার জমির মধ্যেই ধান মাড়াই করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় কৃষক ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
ব্লক প্রদর্শনীর আওতায় ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ২০ কাটা জমিতে আধুনিক ১০৩ জাতের ধান চাষ করেছেন সিংগার ডাক গ্রামের কুদ্দুস সেখ, তাজুল মিয়া, ইব্রাহীম মাদবর। তারা বলেন, কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় ও কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আধুনিক ১০৩ জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি।
ভাষড়া গ্রামের কৃষক জমির মিয়া বলেন, তিনি ৩৫ কাটা জমিতে ব্রি-ধান ৪৯, ৭৫ ও বিনা জাতের ধান ১৭ চাষ করে ফলনও ভালো পেয়েছেন। তবে ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় ধান বিক্রি করে লাভ কিছুটা কম হবে।
কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ধান বেশি হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী রমজান আলী দু'সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকদের আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শেষ হয়ে যাবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশি। দাম ভালো পেলে আগামী মৌসুমে ধানের আবাদ বাড়বে বলে আশাবাদী।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোল্লা আল মামুন বলেন, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ করেছেন। মাঠের অবস্থা ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরি ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর