পাঁচ দফা বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আজ দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত। দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত। দেশের জনগণের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার শহীদ, হাজার হাজার পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হওয়ার মাধ্যমে আজকের এই পটপরিবর্তন। সব দল ও জনগণের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
সরকারের ওয়াদা ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ লক্ষ্যেই জুলাই জাতীয় সনদে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করে।
তিনি বলেন, আমরা চাই- নির্বাচন হোক এমন পরিবেশে যেখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে, থাকবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। জনগণ চাইলে ক্ষমতায় যাবে, না চাইলে যাবে না- এটাই গণতন্ত্র। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের অবৈধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। দেশের রাজনীতি শুদ্ধ করতে হলে এদের অপতৎপরতার অবসান ঘটাতে হবে। আগামী দিনে দেশের মানুষ তাদেরকে আর প্রশ্রয় দেবে না। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপ দিতে। তাই ৮ দলের ৫ দফা দাবি আজ সময়ের সবচেয়ে যৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থসম্মত দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ ডিসেম্বরের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
৮ দলের ঘোষিত ৫ দফা দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান আদেশ) ২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ও স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর