বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী করার জন্য দুই দেশের মাঝে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও আগামী দিনগুলোতে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতারা।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল।
কাউন্সিলের সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব অধ্যাপক ড. ফজলে আলী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ জলিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য নিউটন অধিকারী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ক্ষমতা না দিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালায়। সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।
যুদ্ধের সূচনায় মুজিবনগরে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থনে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে দেওয়ার জন্য ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে নির্ধারিত ছিল এবং এর বাস্তবায়নের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দির গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত আমাদের সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং ভারতের মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। বিশ্ববাসী আমাদের সমর্থন করে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় বরণ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলাদেশের জনগণ শহীদ হন, ২ লাখ নারীর সম্ভমহানি হয়, ১৫ হাজার ভারতীয় মিত্রবাহিনী আত্মাহুতি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে ভারত যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ তা চিরদিন স্মরণে রাখবে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী করার জন্য দুই দেশের মাঝে আলোচনায় সব সমস্যার সমাধান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী দিনগুলোতে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি পথে আমরা যৌথভাবে এগিয়ে যাব।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর