• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৫ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

শিশুকে উদ্ধারে এখনও চলছে গর্ত খোঁড়ার কাজ, সর্বশেষ যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে গভীর নলকূপের গর্তে আটকে থাকা শিশুকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ইতোমধ্যে তিনটি এসকেভেটর দিয়ে পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি করে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন মূল গর্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে দমকল কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম এসব তথ্য জানান।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহীর তানোরে সাজিদ নামের দুই বছর বয়সী শিশুটি গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেয়া ধানের খেতে হাটছিল। হঠাৎ সে গর্তে পড়ে যায়। সাজিদ উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবের ছেলে। রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন।

গত বছর পুকুর পাড়ে গভীর নলকূপের জন্য খুঁড়ে রাখা ৩০-৩৫ ফুট মাটির গর্তে হঠাৎ তলিয়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকেই পুরো উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। শুরুতে সাড়া পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে সে সাড়া মিলিয়ে যেতে থাকে।

বেলা ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করতে থাকে। এতে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত এসকেভেটর দিয়ে মাটি কাটা ও তা সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় বর্তমানে গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোয়েলহাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না-তা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। পরে তিনি গর্তটি ভরাটও করেন। তবে বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে সেখানে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।

শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, ‘আমরা এখন বুঝতে পারব শিশুটি ৩৫ ফিটের মধ্যে পাচ্ছি কিনা। আমাদের ফায়ার ব্রিগেডের টিম অনুসন্ধান করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নিশ্চিত হবো ৩৫ ফিটের মধ্যে পাচ্ছি কিনা। যদি না পাই, এবং ভিকটিম আরও গভীরে চলে যায়, তবে বিকল্প পদ্ধতিতে চেষ্টা করবো। সেই পদ্ধতিতে ভিকটিমকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিকটিম আটকা পড়ার সম্ভাবনা আছে। তার চার ফিট দূরত্বে আমরা টানেল করেছি। সেখানে ভিকটিম আছে কি না আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই, অনুসন্ধান চলছে।’

দিদারুল আলম জানান, ‘গতকালও আমরা সাড়া পাইনি, আজও পাইনি। ৩০ থেকে ৩৫ ফিটের মধ্যে পাওয়া না গেলে, লোকাল অথরিটি ও শিশুর স্বজনরা অনুমতি দিলে মাটির গভীরে লোহার যন্ত্র ব্যবহার করে দেখতে পারি।’

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]