রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারকে তার স্বামীসহ ঝালকাঠির নলছিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে থাকা আয়েশা নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ার চর গ্রামের সিকদার বাড়িতে তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছানোর পরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়েন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫ বছর পর জামাল রাব্বি তার স্ত্রী আয়েশাকে নিয়ে প্রথমবারের মতো নিজের শ্বশুরবাড়ি নলছিটিতে গিয়েছিলেন। তিনি সবার কাছে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। কিন্তু আসলে আত্মগোপনে ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, চুরির ঘটনা নিয়ে লায়লা আফরোজের সঙ্গে হাতাহাতি হলে গৃহকর্মী আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে মা লায়লা এবং তার মেয়ে নাফিজাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ঘটনার দিন আয়েশা মালামাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে, পালাতে গিয়ে তাকে ধরে ফেলায় তার ওপর চড়াও হন। আতঙ্কে মা-মেয়েকে হত্যার পর পালিয়ে যান।
লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আর তার মেয়ে নাফিজার শরীরে চারটি। মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রযুক্তির সাহায্য ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর