আয়োডিন না দিয়ে ভেজাল লবণ বাজারজাতের দায়ে কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিউল ইসলামের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিএসটিআইয়ের মান আনুযায়ী প্যাকেটজাত লবণে ২০-৫০ পিপিএম আয়োডিন থাকার কথা, পরীক্ষাগারে পাওয়া গেছে মাত্র ১৩ পিপিএম।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বীথি ওই আদেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ধার্য রয়েছে।
কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোহাং কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, পরীক্ষাগারে নিম্নমান পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন নিরাপদ খাদ্য আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কনফিডেন্স আয়োডিনযুক্ত ভ্যাকুয়াম লবণের মান নিয়ে সন্দেহ হলে বাজার থেকে ৪০ টাকা দিয়ে ১ কেজি ওজনের প্যাকেট সংগ্রহ করা হয়। লবণের নমুনা জনস্বাস্থ্য খাদ্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। রাসায়নিক পরীক্ষায় মানহীন পাওয়া গেছে। খাদ্য বিশ্লেষক ইলিয়াস জাহেদী কনফিডেন্স সল্ট মান সম্পন্ন নয় বলে সনদপত্র প্রদান করেছেন।
খাদ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় যা পাওয়া গেছে তাতে আয়োডিন নেই বলা চলে। এই লবণ খাওয়া, না-খাওয়া সমান। এই লবণ খেলে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এটা বড় ধরনের প্রতারণা, অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। অবিলম্বে বাজার থেকে ভেজাল লবণ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া উচিৎ।
কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং নেওয়াজ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা এখনও কোনো নোটিশ পাইনি, তবে লোক মারফত জানতে পেরেছি গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা। তারা এক তরফা নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করেছে। কি পেয়েছে সে বিষয়ে আমরা অবগত নই। আমাদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করলে ভালো হতো।
আয়োডিন না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে, সেটি না জেনে কিছু বলতে পারছি না। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ৩ মাসের মতো সরকার আয়োডিন সরবরাহ দিতে পারেনি। বাধ্য হয়ে মিডফোর্ড খোলা বাজার থেকে আয়োডিন সংগ্রহ করেছি। ওই আয়োডিনের কোয়ালিটি কিছুটা খারাপ থাকতে পারে। সেখান থেকে কোনো সমস্যা হলো কি-না বলতে পারছি না।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
আইন ও আদালত এর সর্বশেষ খবর