ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ ছুটে আসেন। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
জানাজার আগে আবেগঘন বক্তব্যে আবু বকর সিদ্দিক জাতির উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন। কণ্ঠ ভারী হয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন,
“ওসমান হাদির সন্তানের এখন মাত্র আট মাস বয়স। সন্তান হওয়ার পর সে আমাকে বলেছিল—ভাই, আমার সন্তানের জন্য এমন একটি নাম ঠিক করেন, যার ভেতরে বিপ্লবী চেতনা থাকবে, সাহসিকতার পরিচয় থাকবে।”
তিনি জানান, হাদির সন্তানের নাম রাখা হয়েছিল ফিরনাস, যার অর্থ বিপ্লবী ও সাহসী। “আজ সেই সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন,”—বলেন তিনি।
নিজের শোক আর ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “আমরা ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল শরীফ ওসমান বিন হাদি। আজ তার লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। আজ আপনাদের কাছে আমার কোনো ব্যক্তিগত দাবি নেই। আমার একটাই দাবি—সাত থেকে আট দিন হয়ে গেল, প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানী ঢাকায় খুনি গুলি করে যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে বড় লজ্জা জাতির জন্য আর কিছু হতে পারে না।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন,“যদি খুনিরা সীমান্ত পার হয়ে যায়, তাহলে ৫-৭ ঘণ্টার মধ্যে তারা কীভাবে পার হলো? এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম।”
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর