আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সার্বিকভাবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যহত করে এমন কর্মকাণ্ড করলে তাদের প্রতি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে কঠোর হতে নির্দেশনা সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সার্বিকভাবে যদি বলি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই আছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায় আমরা এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয় সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এবং ঘটনোর দুঃসাহস না দেখায় তারা যেন পালাতে না পারে সেজন্য গোয়ন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আচরণবিধি প্রতিপালন সন্তোষজন হলেও কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরইমধ্যে ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড ভোটের পরিবেশে প্রভাব ফেলেভেছ।
এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো সানাউল্লাহ বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর থেকে যে সময়টা পার করেছি, সেদিক থেকে একটা বড় ঘটনা ঘটে গেছে শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড। যে কারণে ব্যাপারটা এত বেশি ওভারপওয়ারিং ছিল, পুরো জাতি আমরা শ্যাকেন্ড হয়ে গেছি। এটাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে একটা প্রভাব ফেলেছে।”
মাঠ পযায়ে জেলা উপজেলা পযায়ে আচরণবিধি প্রতিপালনে অতীতের চেয়ে বেশি সতর্ক বলে মনে করেন তিনি।
এ নির্বাচন কমিশনাার বলেন, “যেটা একটা ভালো লক্ষণ। একাধিক দলের মাঝে ঝুটঝামেলা আছে। সার্বিকভাবে যদি বলি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই আছে।”
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়; তাদের টার্গেট কিন্তু মূলত শহর এলাকা। তারা খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড সম্ভবত কর্মকাণ্ড করছে। যাতে করে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কাটা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে সে নির্দেশনা দিয়েছি।”
চোরাগোপ্তা হামলার বিষয়েও সতর্ক ও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা হল যারা হেরে যায় তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা মেজার নেওয়া দরকার সেগুলো নিতে হবে এবং তারপরে কেউ এগুলো ঘটনোর দুঃসাহস না দেখায় তারা যেন পালাতে না পারে সেজন্য আমাদের সচেষ্টা হতে হবে। গোয়ন্দা সংস্থাসহ বাহিনীড়গুলোকে সচেতন করেছি।
১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর পযন্ত আগ্রহীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর