কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারের দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে, নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা এলাকায়।
আটক হওয়া ট্রলার দুটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া নৌঘাট এবং পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাটের বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, গভীর সাগরে মাছ শিকার শেষে জেলেরা সকালে টেকনাফের দিকে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের মোহনা এলাকা থেকে আরাকান আর্মির একটি দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি খালে নিয়ে যায়।
ট্রলারের একজন মালিক আব্দুল জলিল বলেন, “আজ সকালে মাছ ধরে ফেরার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে মাঝিসহ সাতজন জেলেসহ আমার ট্রলারটি ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকেই সাগরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটক জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জেলে পল্লীগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম জানান, দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে ধরে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, গত ১০ মাসে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের নাফ নদ ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও প্রায় ১৫০ জন জেলে তাদের হাতে আটক রয়েছেন।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর