বগুড়ার শেরপুরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পৃথক সময়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো. এরশাদ আলী (৪০), যিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপরজন সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলাম খানের ছেলে রকি (৩০), যিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই মিছিলে হামলা চালান এবং বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজ এলাকা থেকে এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিজ বাসা থেকে রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন জানান, তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় পৃথক মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সর্বশেষ খবর