হঠাৎ করে রাজধানী ঢাকাতে বেড়েছে কুয়াশা। এদিকে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শীতের অনুভূতিও বাড়ছে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে রাজধানীতে কুয়াশার উপস্থিতি বেড়েছে। সারাদিন তেমন একটা সূর্যের দেখাও মেলেনি, ফলে শীতের অনুভূতি আরও প্রবল হয়েছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীত ও কুয়াশার মধ্যেও নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। অফিসগামী মানুষ, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষেরা প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে বের হলেও শীতের কারণে অনেককেই গরম কাপড়, সোয়েটার, জ্যাকেট ও মাফলার পরতে দেখা গেছে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় কিছু এলাকায় কয়েক হাত দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না, যা পথচারী ও চালকদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিকেল থেকেই কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচলরত বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশাগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। এতে যান চলাচলের গতি কিছুটা কমে আসে এবং কোথাও কোথাও সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। চালকেরা জানান, হঠাৎ কুয়াশা ঘন হয়ে যাওয়ায় দৃশ্যমানতা কমে গেছে, ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া প্রথম দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর